বৈধব্য
-অমল দাস
রক্তিম সিঁদুরের কেমিক্যালে মৃত সূর্যের ছাপ-
মণিবন্ধের শাঁখা ভেঙে ফেলা মরু-ললাটে!
অগ্নিসাক্ষীর ছায়াসঙ্গী বাইপাস ধরে নিরুদ্দেশ,
সি.সি টিভির ফুটেজ নেই কোনো চৌরাস্তার মোড়ে।
ফ্ল্যাশব্যাকে স্মৃতি-মন্থনের অবকাশহীন একাদশী, দ্বাদশী…
স্পর্শকাতর নদীর কিনারে আলতা রাঙা পা ধুয়ে যায়,
পহেলা রজনীতে আত্ম-সমর্পণের আস্থা ডুবে অতলে!
বেদুইন কোনো নৌকা রেখে যায়নি বেহুলার দিকমার্গে..
আঁচলে গিঁট বাঁধার আড়ম্বরে হিসাবে উপচে পড়ে যোগ,
অথচ বিয়োগে! ঋণখেলাপীর ভয়ে সংখ্যারা পগারপার
একটানে খাতার পাতা ছিঁড়ে উঠোনে, ঝাড়ুর ডগায়..
জন্মের দায় কাঁধে পল্লবিত শান্ত নয়নসলিলে বিমর্ষ জনক
জননী ‘স্বর্গাদপি গরিয়সী’র মানে বোঝে না,
-পদ্মা যমুনার বাঁধ ছিন্ন হয় উৎকণ্ঠায়!
মদনাগ্রাসী লোলে পিঁপড়েরা চকোলেট ডে’র অপেক্ষায়
লংমার্চে ঘিরে রাখে বাস্তুর চারিপাশ… মুহূর্ত সন্ধানী!
সংগ্রাম, মিষ্টান্নের পাত্র সুরক্ষায় বৈধব্য হেঁটে চলে-
রেললাইনের মাঝ বরাবর পথে..
নারী, ওকালে হোক বা একালে, বিবাহিত অথবা অবিবাহিত, বন্চিত। জীবন সংগ্রাম তার কাছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কঠিন। সমাজের সকল স্তরের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা তাকে মূল স্রোতে স্থায়ী করবে।
একদমই তাই শুধুমাত্র নারী হওয়াতেই যুগ যুগ ধরে তারা বঞ্চিত। দরকার আমাদের সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
অনবদ্য রচনা।
অশেষ ধন্যবাদ
অসাধারণ লেখনী…. ভীষন ভাবে মন ছুঁয়ে গেল……
অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।